
আমতলী পৌর শ্রমিকদল সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান বিশ্বাসকে (২৮) উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন মাস্টার, তার দুই ছেলে জিহাদ ও জিসান কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে রক্ষায় ছাত্রদল নেতা রায়েজিদ এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করেছে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌরসভার ডাকবাংলো সড়কে বৃহস্পতিবার দুপুরে।
আমতলী পৌরসভার ছুরিকাটা এলাকার মজিবর বিশ্বাসের ছেলে ছাত্র নেতা নাঈম বিশ্বাস নতুন ভোটারের ছবি তুলতে বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভা কার্যালয়ে আসে। ওই সময় লাইনে দাড়ানোকে কেন্দ্র করে নাঈম বিশ্বাসের সঙ্গে ডাক বাংলো সড়কের সাবেক ছাত্রদল নেতা লিটন মাস্টারের ছেলে জিহাদ হাওলাদারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় জিহাদ নাঈমকে মারধর করে। এ ঘটনার বিচার চাইতে চাচা শ্রমিকদল নেতা সুলতান বিশ্বাস লিটন মাস্টারের কাছে আসেন। ওই সময় লিটন মাস্টার ও তার দুই ছেলে জিহাদ ও জিসান তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। তাকে রক্ষায় বায়েজিদ এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে সুলতান বিশ্বাসের লোকজন এসে জিহাদকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে লিটন মাস্টার অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রবিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
আহত পৌর শ্রমিকদল সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান বিশ্বাস বলেন, আমার ভাইয়ের ছেলে নাঈম ছবি তুলতে পৌরসভা কার্যালয়ে আসে। ওই সময় জিহাদ আমার ভাইয়ের ছেলেকে লাইনে দাড়ানোকে কেন্দ্র করে মারধর করেছে। আমি এর বিচার চাইতে জিহাদের বাবার লিটন মাস্টারের কাছে গেলে তিনি ও তার দুই ছেলে আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। আমতলী উপজেলা ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন মাস্টার বলেন,আমার ছেলে জিহাদকে সুলতান বিশ্বাস ও তার লোকজন তুলে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, বিষয়টি জেনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।