
ছুটি ও কোনও কারণ না জানিয়ে টানা ৪ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল সার্জন জেবা সাজিদা। তার অনুপস্থিতিতে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। হাজিরা অনুযায়ী দেখা যায় তিনি যোগদানের পর থেকে অনিয়মিত অফিস করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ডেন্টাল সার্জন জেবা সাজিদার রোগী দেখার ১৩৩ নং কক্ষে অন্য ডাক্তার রোগী দেখছেন। দাঁতের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ডাক্তার না পেয়ে ফার্মাসিস্ট এবং জরুরি বিভাগে ডাক্তার দেখিয়ে অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আরও খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ডেন্টাল সার্জন জেবা সাজিদা ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল খুশিমত হাসপাতালে আসেন। নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮.৩০ উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ১০.৩০ টার পর হাসপাতালে প্রবেশ করেন। হাসপাতালে অনুপস্থিতির বিষয় জানতে দৈনিক আমার সংবাদ প্রতিনিধির সামনে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: আনোয়ারুল হক সার্জন জেবা সাজিদা কে সরকারি নম্বর থেকে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পশ্চিম বেজগ্রাম থেকে আসা তুহিন নামে একজন বলেন, ডেন্টাল ডাক্তারের দেখাই পাওয়া যায় না। এই হাসপাতালে ডেন্টাল ডাক্তার আছে কি ?
টংভাঙ্গা এলাকা থেকে দাঁতের চিকিৎসা নিতে আসা মোস্তফার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার এবং আজ রবিবার আসলাম ডেন্টাল সার্জন নাই। ডেন্টাল সার্জন কে নিয়মিত চেম্বারে পাওয়া যায় না। তবে দাঁতের ডাক্তার নিয়মিত বসলে আমাদের ভোগান্তি হত না।
এ বিষয়ে জানতে ডেন্টাল সার্জন জেবা সাজিদার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
হাতীবান্ধা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: আনোয়ারুল হক জনান, এ মাসে তিনি ১১ ও ১২ তারিখে ছুটিতে ছিলেন। এরপর আর অফিসে আসেননি। ওনার কোন সমস্যা হয়েছে কিনা সেটা অফিসিয়াল ভাবে জানাননি। এবং কোন ছুটির দরখাস্ত দেননি। তবে নিজের ইচ্ছামত ছুটি কাটালে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।