চীনের প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি গাইবান্ধায় স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনগণ।
তারা লাগাতার ভাবে বিভিন্ন ব্যানারে করছে সভা সমাবেশ ও মানববন্ধন। গড়ে উঠেছে সামাজিক ও আঞ্চলিক উন্নয়ন আন্দোলন।
২২ এপ্রিল মঙ্গলবার গাইবান্ধা পৌর শহরের ডিবি রোডে এক কিলোমিটারব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে জনগণ এই মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন। ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে জেলার সর্বস্তরের সাধারণ ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশাজীবী ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ইকবাল আহমেদের সভাপতিত্বে এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির আবেদ আলী খান, দলিল লেখক সমিতির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা, সাংস্কৃতিক সংগঠক আলমগীর কবীর বাদল, রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের জিয়াউর রহমান সুমন, ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের শফিকুল ইসলাম রুবেল, রামচন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বির রহমান, হকার্স মার্কেটের সুজন প্রসাদসহ অন্যান্যরা।
এতে বক্তারা বলেন দেশের সবচেয়ে অবহেলিত জেলা গাইবান্ধা। এখানে কোনো কলকারখানা নেই। নেই কর্মসংস্থানের কোনো সুযোগ। এখানকার সাধারণ মানুষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর ও ঢাকায় যেতে হয়। উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলার মধ্যে ৭ জেলায় হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু গাইবান্ধাই সর্বদিক থেকে বঞ্চিত। বক্তারা আরো বলেন গাইবান্ধায় এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও আনুষাঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। এখানে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রীর হাসপাতালটি নির্মিত হলে বৃহত্তর রংপুরের মানুষ উপকৃত হবে। এজন্য গাইবান্ধায় হাসপাতাল নির্মাণের জন্য বক্তারা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ মানববন্ধন শেষে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।