নামে আদর্শ বিদ্যাপীঠ হলেও স্কুলটিতে ঢুকলেই যে কারো নাক মুখ চেপে ধরতে হবে। নিয়ম নীতি না মেনে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রাইভেট/কোচিং এর রুম থেকেই রাতারাতি সৃষ্টি হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর সমিতির হাটে রাতারাতি গড়ে ওঠা আদর্শ বিদ্যাপীঠ নামের এই স্কুলটির বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিস্তর অভিযোগ।
জানা গেছে, কয়েকমাস আগে ওই এলাকার রাজীবসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় একটি রুম ভাড়া নিয়ে কোচিং সেন্টার খোলে। পরে আশে পাশের স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার স্কুলে ভর্তি করান।
সরেজমিনে স্কুলটি ঢুকতেই দেখা যায় ময়লা আবর্জনার মধ্যেই একজন শিক্ষক পাঠদান করাচ্ছে। কয়জন শিক্ষক রয়েছে স্কুলটিতে এর কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীরা জানান,নাক মুখ চেপে ধরে ক্লাস করতে হয়। বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে এখানে নিয়ে আসার পর বুঝতে পারি আমাদেরকে ঠকানো হয়েছে প্রাইভেট কোচিং এর মত অনেক টাকা দিয়ে এখানে পড়াশোনা করতে হয়।
বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান,অন্য স্কুল থেকে আমরা এখানে সন্তানদের ভর্তি করিয়েছি। এখন দেখছি এখানে যে পরিবেশ তাতে সন্তানরা অস্বস্তিবোধ করছে। এই স্কুলটির মধ্যে রাতে কি হয় সেটা নিয়েও সন্দিহান অনেক অভিভাবকের।
এলাকাবাসী বলছেন রাতারাতি এভাবে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় কিভাবে? এখানে শিক্ষার কোন পরিবেশ নেই বলেও জানান এলাকার কয়েকজন। এলাকাবাসীর দাবী শিক্ষার নামে এমন অবৈধ স্কুলটির ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এব্যাপারে আর্দশ বিদ্যাপীঠ কিন্ডারগার্টেন এর পরিচালক রাজীব সরকার এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নকিবুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই প্রতিষ্ঠানের নাম প্রথম শুনলাম,এরকম বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যা আমাদের জানার বাইরে, তদন্ত সাপেক্ষে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।