দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের বামনগর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক পরিবারের ওপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিবাগত রাতে সংঘটিত এই হামলায় নারী ও শিশুসহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। একই ঘটনায় নগদ অর্থ ও গরু চুরির অভিযোগও উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযোগকারী মোঃ দুলাল হোসেন জানান, তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে বন বিভাগের ১৫ শতক জমি চাষাবাদ করে আসছেন। সম্প্রতি স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই জমির জন্য তার কাছে বছরে ১০,০০০ টাকা দাবি করে আসছিল এবং টাকা না দিলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছিল। দুলাল তার বাড়ি সংস্কার করতে গেলে বিবাদী পক্ষ তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।
দুলাল হোসেনের অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১২ জুন দিবাগত রাতে বিবাদী পক্ষের ৭-৮ জন সদস্য তার বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা লাঠি, রড ও গাছের ডাল দিয়ে দুলালের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম, ছেলে নদীমুল ইসলাম, মামা দৌলত মিয়া, আলম মিয়া, সুরুজ মিয়া, ভাগ্না আব্দুল আউয়াল এবং কন্যা আলালকে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ফুলবাড়ী ও নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার সময় স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে বিবাদী পক্ষ তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুলালের বাড়ির টিনের চাল ও বেড়া ভেঙে প্রায় ৬০,০০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও, গোয়াল ঘর থেকে ৫০,০০০ টাকা মূল্যের একটি গরু চুরির অভিযোগও করেছেন দুলাল।
স্থানীয় সাক্ষী মোঃ আলম মিয়া, বাবু মিয়া ও আমিনুল ইসলামের বরাত দিয়ে অভিযোগকারী নবাবগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাটি নিশ্চিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
এলাকার গ্রামবাসীরা জমি বিরোধের জেরে উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবং প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।