
এম. টুকু মাহমুদ, চুয়াডাঙ্গা থেকে ফিরেঃ পল্লী বিদুৎ অফিসের নাম ভাঙিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। অফিসের লাইন ম্যান পরিচয় দিয়ে নামে বে-নামে অর্থের বিনিময়ে মিটার লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য অনুসন্ধানে গেলে জানা যায়,পল্লী বিদ্যৎ এর ভূয়া লাইন ম্যান আরব আলীর কথা। তিনি চুয়াডাঙ্গা জোনাল পল্লী বিদুৎ অফিসের অনুমোদিত একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। গ্রামের বাড়ি সদর চুয়াডাঙ্গা সরোজগঞ্জ গ্রামে। তিনি প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জাকির মটরস এর ম্যানেজারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ অফিসের লাইন ম্যান পরিচয় দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন টাকা।ভুক্তভোগী গ্রাহকের গ্রামের বাডি পার্শ্ববর্তী উপজেলা আলমডাঙ্গার ধোনাইগঞ্জে।
ভুক্তভোগী বজলুর রহমানের পুত্র শাহাবুদ্দীন জানান,আরব আলী নামের একজন হঠাৎ একদিন গাড়ির শো-রুম শহরে এসে আমার সাথে পরিচয় হয়। বলেন তিনি আলমডাঙ্গা পল্লী বিদুৎ অফিসের একজন লাইন ম্যান, এখন চুয়াডাঙ্গা অফিসে চাকরি করেন। প্রথমে তিনি আগাম কোনো টাকা লাগবে না বলে মিটার লাগানোর কথা বলেন। অফিস খরচের কথা বলে কিছুদিন পরেই জুলাই মাসের ১৪ তারিখ ২০২৫ ইং তারিখে রকেট একাউন্টের মাধ্যমে ২০০০/- (দুই হাজার) টাকা নেন। কিছুদিন পরে বলেন আপনার মিটার হবে না। আমি এর পরে ঐ আরবের সাথে যোগাযোগ করলে নানা বাহানা দিয়ে আমাকে হয়রানি করছেন। এখন পর্যন্ত আমার মিটারও লাগাইনি আবার আমাকে টাকাও ফেরত দেয়নি। আমি এর সুষ্ঠ্যু বিচার চাই।
এদিকে ইলেক্ট্রিশিয়ান আরবের সাথে প্রথমে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি উল্টা পাল্টা কথা বলেন। পরবর্তীতে সরাসরি কথা বলতে চুয়াডাঙ্গা পল্লী বিদুৎ অফিসে গেলে তিনি ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তার পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা পল্লী বিদুৎ অফিস সুত্রে জানা যায়,সরজগঞ্জের আরব আলী তিনি একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান,স্টাফ নন।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জোনাল পল্লী বিদুৎ  অফিসের কর্মকর্তা ডিজিএম জসিম উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর তাছাড়াও আরব আলী নামের কাউকে আমি চিনি না। তিনি আমাদের বিদ্যুৎ অফিসের কোনো স্টাফ নয়।
