
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, দেশের প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রের আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। তিনি স্বীকার করেন, প্রবীণদের প্রতি প্রয়োজনীয় মনোযোগ দিতে না পারায় তারা সমাজে উপেক্ষিত ও অবহেলার শিকার হচ্ছেন, এবং এর দায় রাষ্ট্র ও সমাজকেই নিতে হবে।
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগরের সিনিয়র্স ক্লাবে ‘দি সিনিয়র সিটিজেন্স সোসাইটির’ ৮ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
উপক্ষিত প্রবীণ এবং রাষ্ট্রের দায়
উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, আমাদের দেশে অনেক প্রবীণ নাগরিক অবসর গ্রহণের পর রাষ্ট্র থেকে তো বটেই, অনেকে সমাজ এবং এমনকি পরিবার থেকেও পরিত্যক্ত হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, “প্রবীণদের প্রতি রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় মনোযোগ দিতে পারেনি। তাই তারা সমাজে উপেক্ষিত হয়েছেন, অবহেলার শিকার হয়েছেন। এই দায় আমাদেরকেই নিতে হবে। কারণ এই রাষ্ট্র ও সমাজ আমরাই তৈরি করেছি।”
তিনি প্রবীণদের সংঘবদ্ধ হয়ে প্লাটফর্ম তৈরি করার প্রশংসা করেন এবং বলেন, এখন তারা তাদের অধিকারের জন্য আওয়াজ তুলতে পারবেন।
সুস্থ সমাজ গড়ার আহ্বান
জাতির ক্রান্তিকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদে দু’জন ছাড়া, সকলেই প্রবীণ।”
তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের সমাজে ভিলেনরা সবাই নায়ক হয়ে গেছিল। সেসব কালো অধ্যায় যাতে আর না দেখি, সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মকে একটি সুস্থ এবং বাসযোগ্য সমাজ উপহার দিয়ে যেতে হবে। সব বিভেদ মিটিয়ে সামাজিক মেলবন্ধন তৈরি করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের বক্তব্য
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘দি সিনিয়র সিটিজেন্স সোসাইটির’ সভাপতি ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক এম এ মালেক। তিনি বলেন, “মানুষ চাইলে সবই করতে পারে। তবে তার জন্য চেষ্টা করতে হবে। বয়স একটি সংখ্যামাত্র। মনের দিক থেকে যাতে বুড়িয়ে না যাই সবার সেই চেষ্টা করা উচিত।”
সভায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক দিলীপ কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক লায়ন সিরাজুল হক আনসারী সহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও আজীবন সদস্যগণ।
‘দি সিনিয়র সিটিজেন্স সোসাইটি’ প্রবীণদের অধিকার রক্ষায় আর কী কী ধরনের উদ্যোগ নেয়, সে বিষয়ে জানতে চান?
