
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ‘তিন চাকার সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের সম্মান জানাতে এক দারুণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ৯ই আগস্ট, এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীতের দুই বিজয়ীর বাড়িতে গিয়ে তাদের বাবাকে ফুলের মালা পরিয়ে সম্মান জানানো হয়। শুধু তাই নয়, তাদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতাও প্রদান করা হয়। এই মানবিক উদ্যোগটি সমাজে এক অন্যরকম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা সমাজের প্রচলিত ধারণাকে বদলে দিয়েছে।
এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের নেপথ্যে ছিলেন লেখক, ট্রেইনার ও মোটিভেশনাল স্পিকার এ বি সিদ্দিক শাওন। তাকে সহযোগিতা করেন জাতীয় দৈনিক নববানী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এস এম মেহেদী হাসান।
তারা জানান, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল সমাজের প্রান্তিক পেশার মানুষদের প্রতি সম্মান বৃদ্ধি করা এবং তাদের ভেতরের সুপ্ত প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়া। এই চালকরা সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং সততা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আয়োজকরা বলেন, এমন আয়োজন সমাজে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেয় এবং পেশার ভিন্নতা ছাপিয়ে প্রতিভাকে মূল্যায়নের সুযোগ তৈরি করে। এটি প্রমাণ করে যে, প্রতিভা কোনো পেশার গণ্ডিতে আটকে থাকে না, বরং সুযোগ পেলে তা বিকশিত হতে পারে।
বিজয়ীদের বাবারা এই সম্মান পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “রফিকুল ইসলাম খানের মতো একজন নেতা আমার ছেলেকে মঞ্চে বুকে জড়িয়ে ধরেছেন, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।”
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক শাহজাহান আলী।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মাওঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আলহাজ্ব মাওঃ মোহাম্মাদ আলী, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র, সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী, ইসলামী চিন্তাবিদ এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। তিনি পিস স্কুল এন্ড কলেজের স্পন্সর ডিরেক্টর এবং সেল একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা।
এই অনন্য উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু প্রতিযোগীদের নয়, বরং তাদের পরিবারকেও সম্মান জানানো হয়েছে। এই সংবর্ধনা ও আর্থিক সহযোগিতা তাদের ভবিষ্যতের পথচলাকে আরও সহজ করবে এবং সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

